ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: গত ইং ২৭/০১/২০২২ তারিখ স্থানীয় রঞ্জন সরদার এর ইটের ভাটা থেকে একটি মটর পাম্প চুরি করে প্রিতম ঢালী সেই মটর পাম্প টি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইং ২৮/০১/২০২২ তারিখে রিপন শেখের নিকট বিক্রয় করতে গেলে রিপন মাটর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা বাদ করলে এক পর্যায়ে প্রিতম ঢালী স্বীকার করে যে, মটর পাম্পটি রঞ্জন সরদার ইটের ভাটা থেকে একটি মটর পাম্প চুরি করে।

রিপন তার ভাই রাকিব কে ডাক দেয় এবং অন্যান্য লোকজন এসে প্রিতমকে বসিয়ে রাখে এবং রঞ্জন সরদার কে সংবাদ দেওয়া হয়। তাৎক্ষনিক রঞ্জন সরদার্ের লোক এসে দেখতে পায় যে, তার ইট ভাটার মটর পাম্পটি ফেলানো, দেখে চিন্তে পারে এবং প্রিতমকে জিজ্ঞাসা বাদ করেলে প্রিতম মটর পাম্পটি চুরির কথা স্বীকার করে। পরে জরিমানা সহ মটর পাম্পটি ফেরত দেয়।

এরই প্রেক্ষিতে এবং উক্ত ঘটনার জের হিসাবে ক্ষিপ্ত হয়ে অর্জুন মন্ডলের নেতৃত্বে দেবব্রত মন্ডল, দিপাকর মন্ডল, আকাশ মন্ডল, প্রিতম ঢালি, সত্যচরন ঢালি, রবিউল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন হাতে দাও, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে গত ইং ২৯/০১/২০২২ তারিখ সকল সাড়ে ১০টায় রাকিবের বাড়িতে এসে অনধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।

রিপন ও রাকিবের ঘরে ঢুকে মালামাল ভাংচুর করে ভৃতির সৃষ্টি করে। রিপন, রাকিব ও তার মা তাদের ভাংচুর প্রতিহত করার জন্য বাধা সৃষ্টি করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অর্জুন মন্ডলের হাতে থাকা ধারালো দাও দিয়ে রিপন কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার উপর কোপ দিলে রিপনের মা উক্ত কোপ ঠেকাতে গেলে তার বাম হাতে কবজির উপর গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আকাশ মন্ডলের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে রাকিব কে সজোরে বাড়ি মারলে রাকিবের পিঠে আঘাত করে।

দিপাকর মন্ডল, প্রিতম ঢালি, সত্যচরন ঢালি, রবিউল ইসলাম কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। দেবব্রত মন্ডল রাকিবের মায়ের গলায় থাকা আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আর তান্ডব চালাতে থাকে। এর এক পর্যায়ে তাদের কে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রিপন ও রাকিবের মা খাদিজা বেগমকে স্থানীয়রা দ্রæত ডুমুরিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর পরি সত্যচরন ঢালি বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে রাকিব ও রিপনের বিরুদ্ধে। পুলিশ কর্তৃক রাকিব ও রিপনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ৩১/০১/২০২২ তারিখে রাকিব ও রিপনের জামিন হয়। পরে তার মা একটু সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড় পত্র নিয়ে আদালতে মামলা করে এবং অর্জুন মন্ডল, দেবব্রত মন্ডল, দিপাকর মন্ডল, আকাশ মন্ডল, প্রিতম ঢালি, সত্যচরন ঢালি, রবিউল ইসলাম এর নামে খুলনা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক ডুমুরিয়া থানাকে এজাহার গঠনের নির্দেশ দেয়।